কিনোয়া কি?(QUINOA) এবং কেন খাবেন?
- পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফসল 'কিনোয়া'। দানাদার জাতীয় এই রবি শস্যটিকে বলা হয় সুপার ফুড। দক্ষিণ আমেরিকার এই ফসলটির চাহিদা বিশ্বজুড়ে। নানাভাবে রান্না করে খাওয়া যাওয়া এই ফসলটি ডায়াবেটিকসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের জন্য উপকারি খাবার বলে জানিয়েছেন পুস্টিবিদরা।
কিনোয়ার পুস্টি উপাদানঃ
পুষ্টিগুণ ও উপাদেয়তার দিকটি বিবেচনা করলে পৃথিবীর সেরা সুপার ফুডের একটি । এতে আছে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এখানেই শেষ নয়। এতে পাওয়া যায় ন’ধরনের এসেনশিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিড, যা খুব কম খাবারেই পাওয়া যায়।
পুষ্টির তথ্য (প্রতি 100 গ্রাম):এনার্জি – 356 কিলোক্যালরি, ফ্যাট – 7.1 গ্রাম (যার মধ্যে 0.9 গ্রাম পরিপূর্ণ), কার্বোহাইড্রেট – 64.3 গ্রাম (যার মধ্যে শর্করা 3.5 গ্রাম), ফাইবার – 5.9 গ্রাম, প্রোটিন – 12.8 গ্রাম,
কিনোয়ার( Quinoa)পুস্টিগুন ও উপকারিতাঃ
- অন্যান্য দানাদার খাদ্য উপাদানের চাইতে কিয়ানোতে আঁশ অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। তাই দানাশস্য খেলে পাকস্থলীর মতন শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ অনেকাংশে সুস্থ থাকে।
- কিনোয়াতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিংক ও আয়রন থাকে। তাই নারীদের জন্য এই শস্য উপকারী এক খাবার।
- কিনোয়া দানাশস্য খেলে অনেকাংশে কোলেস্টোরল কমে যায়, এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সুস্থ থাকে।
- কিনোয়াতে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম থাকায় তা খেলে আমাদের শরীরের লবণের ভারসাম্য ঠিক থাকে। এরফলে শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- প্রোটিন, ভিটামিন বি ও ফাইবারে ভরপুর কিনোয়া ডায়েটে অসাধারণ ভূমিকা রাখে। ডায়েটে কিনোয়া রাখলে একই সঙ্গে পুষ্টি বজায় থাকবে, ওজনও কমবে, হাড়ের গঠন মজবুত হবে, বাওয়েল মুভমেন্ট নিয়মিত হবে, গ্যাসট্রো-ইনটেস্টিনাল স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করায় হৃদযন্ত্রও সুস্থ থাকবে।
- কিনোয়ার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় ডায়াবেটিক ডায়েটেও কিনোয়া রাখা যেতে পারে।
- ক্যানসার প্রতিরোধেও কিনোয়াকে ফলদায়ী মনে করছেন চিকিৎসকেরা। ফলে পুষ্টিগুণ বিচার করে দেখলে কিনোয়া কিন্তু সুপারফুড।
ফোনে অর্ডার করুন অথবা প্রয়োজনে কল করুন
১ কেজি মাল্টিকালার ”কিনোয়া” মাত্র-৮০০ টাকা ।
ভাত বা রুটির বিকল্প ( Quinoa) কিনোয়াঃ
- ডায়েটিশিয়ান সুবর্ণা রায়চৌধুরী জানালেন, ‘‘এক কাপ কিনোয়ায় পাওয়া যায় ২২২ ক্যালরি ও ২২ গ্রাম কার্বস। অন্য দিকে ১ কাপ চালে কার্ব থাকে প্রায় ৭৮ গ্রাম। এ দিকে ফাইবার এবং প্রোটিনও ভাতের তুলনায় কিনোয়াতেই বেশি। ফলে ভাতের পরিবর্ত হিসেবে কিনোয়া ব্যবহার করলে বরং সুফল পাবেন। বিশেষত যাঁরা ওজন কমানোর ডায়েট করছেন, তাঁরা স্বচ্ছন্দে ভাতের বদলে কিনোয়া খেতে পারেন।
কিনোয়া ( Quinoa) রান্নার নিয়মঃ
- কিনোয়া রান্নার সহজ একটি রেসিপি: কিনোয়া প্রথমে ধুয়ে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে পরিমান মত পানি দিয়ে সিদ্ধ করে শাক সবজি,,মাছ মাংস বা সালাদ দিয়ে খেতে পারেন।ফ্রাইড রাইস করেও খেতে পারেন। এছাড়া ইউটিউবে পেয়ে যাবেন অসংখ্য কিনোয়া রেসিপি ।
অর্ডার করতে সঠিক তথ্য দিয়ে নিচের ফর্মটি পূরণ করে place Order বাটনে ক্লিক করুন
Copyright © 2024 Convertsolution | This website made with ❤️ by ShikhoApp